সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদ কিংবা বিশেষ কোনো উৎসবের সময় সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায়। এছাড়া, প্রতিদিনই সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাড়ি চালকদের অদক্ষতা, সড়ক আইন না মানা আর জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সমন্বয়ক শিপ্রা গোস্বামী বলেন, একদিকে চালকরা সড়কে গতি মানছেন না। অন্যদিকে মহাসড়কগুলোতে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কারণে বিশেষ কোনো উৎসবের সময় দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে সব পক্ষকে সড়ক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
এবারের ঈদের প্রথম প্রহরে ফরিদপুরের ধুলদীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হন। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।
দুর্ঘটনায় নিহত আলফাডাঙ্গার কোনাগ্রামের শাহব উদ্দিন মৃধার পরিবারের সদস্য সোবাহান মৃধা বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনাই একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। আমি চাই না আমাদের মতো এভাবে আর কোনো পরিবার অসহায় হোক।’
জেলা প্রশাসক বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া চালকদের দক্ষতা, পথচারী ও জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানো এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু এক পক্ষকে দোষ দিলে হবে না, যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই সড়ক কিংবা মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দক্ষিণাঞ্চল সভাপতি জুবায়ের জাকির মনে করেন, শুধু চালক নয়, মহাসড়কগুলোতে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো এবং জনসাধারণের অসেচতনতার কারণেই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।